Loading...
Larger font
Smaller font
Copy
Print
Contents

পিতৃকুলপতিগণ ও ভাববাদীগণ

 - Contents
  • Results
  • Related
  • Featured
No results found for: "".
  • Weighted Relevancy
  • Content Sequence
  • Relevancy
  • Earliest First
  • Latest First

    দু'টি কক্ষ দু'ধরণের সেবা কাজের প্রতীক

    ঘরটি একটি সুন্দর পর্দা দ্বারা দু'টি কক্ষে বিভক্ত ছিল, এবং একই ধরণের পর্দা দ্বারা প্রথম কক্ষের প্রবেশ পথকে বন্ধ করা হত। এগুলি ছিল চমকার উজ্জ্বল রঙের-নীল, বেগুনী, লাল ও টকটকে লাল আর স্বর্গীয় দূতগণের প্রতীকরূপে সোনা ও রূপার সূতা দ্বারা দূতের ছবি এতে অঙ্কিত ছিল । PPBeng 242.2

    পবিত্র-তাঁবুটি একটি খোলা প্রাঙ্গনে স্থাপন করা হত। প্রবেশ পথ থাকত পূর্ব দিকে, যা সুন্দর কাজ করা পর্দা দ্বারা বেষ্টিত থাকত, অবশ্য ধর্ম্মধামের পর্দার চেয়ে নীচু মানের ছিল। তাঁবুটিকে বাইরের লোকেরা সহজেই দেখতে পারত। প্রাঙ্গনে মধ্যে থাকত হোমবলির পিতলের তৈরী যজ্ঞবেদি। সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলি দেয়া হত তা এই যজ্ঞবেদির উপর আগুন দ্বারা পুড়িয়ে দেয়া হত, আর এর শৃঙ্গের উপরে প্রায়শ্চিত্তের রক্ত ছিটিয়ে দেয়া হত। যজ্ঞবেদি ও সমাগম-তাঁবুর দরজার মধ্যখানে ছিল পিতলের প্রক্ষালন পাত্র, যা ইস্রায়েলী মহিলাদের স্বেচ্ছায় দানকৃত আয়না দ্বারা তৈরী হয়েছিল। পুরোহিতগণ যখনই সমাগম-তাঁবুতে প্রবেশ করতে যেতেন অথবা যজ্ঞবেদিতে সদাপ্রভুর হোম-বলি করতে যেতেন তার আগে ঐখানে তারা হাত ও পা ধৌত করতেন। PPBeng 242.3

    প্রথম কক্ষে, অথবা পবিত্র স্থানে, ছিল দর্শন রুটির টেবিল, দীপবৃক্ষ এবং সুগন্ধধূপ পোড়াবার পাত্র। দর্শন রুটির টেবিল থাকত উত্তর দিকে; এটি খাঁটি সোনার দ্বারা মোড়ান ছিল । এই টেবিলের উপর যাজকগণ প্রতি বিশ্রামদিনে দুই তাকে বিভক্ত করে বারটি রুটি রাখতেন। দক্ষিন দিকে থাকত সাতটি ডালওয়ালা মোমবাতি, এর প্রতিটি ডাল সুন্দর কাজ করা ফুলে সাজানো থাকত, এর সমস্ত কিছুই একখন্ড খাঁটি সোনা দ্বারা নির্মিত ছিল। সমস্ত বাতিগুলি কিন্তু একত্রে কখনো নিভানো হত না, কিন্তু দিন ও রাত্রি এই প্রদীপ আলো দিতে থাকত । PPBeng 242.4

    পবিত্র স্থান ও ঈশ্বরের উপস্থিতির মহা পবিত্র স্থান পৃথক করার পর্দার সামনেই থাকত স্বর্ণময় ধূপবেদি। পুরোহিতদের এই পাত্রে সকাল ও সন্ধ্যায় সুগন্ধি পোড়াতে হত, এর চূড়ায় প্রায়শ্চিত্তের দিনের বলির রুক্ত ছিটানো হত । যজ্ঞবেদির আগুন ঈশ্বর নিজেই জ্বালিয়েছিলেন। দিবারাত্র পবিত্র কক্ষের ভিতরে ও সমাগম-তাঁবুর চতুর্দিকে সুগন্ধি পোড়ানোর ঘ্রাণ ছড়িয়ে থাকত । PPBeng 243.1

    ভিতরের পর্দার অন্য পাশে ছিল মহাপবিত্র স্থান, যেখানে প্রায়শ্চিত্তকারী মধ্যস্থাকারীর প্রতীকি অনুষ্ঠান পরিচালিত হত, যা ছিল স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যের সংযোগ পদ্ধতি। এই কক্ষে ছিল ভিতরে ও বাইরে সোনা দ্বারা মোড়ান সিন্দুক, যা ছিল দশ আজ্ঞা লিখিত পস্তর ফলকের ধারক। এটাকে বলা হত ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুক, চুক্তির-সিন্দুক, কেননা ঈশ্বর ও ইস্রায়েলদের মধ্যের চুক্তির ভিত্তি ছিল ঐ দশ আজ্ঞা ৷ PPBeng 243.2

    সিন্দুকের ঢাকনার নাম ছিল অনুগ্রহের আসন। এটি এক খন্ড খাঁটি সোনা হতে তৈরী করা হয়েছিল, যার উভয় পার্শ্বে আরোহিত ছিল সোনার তৈরী করব। একে অন্যের দিকে মুখ রেখে সম্মান সহকারে সিন্দুকের দিকে দৃষ্টিরত চেরুবিম দ্বয়ের অবস্থান স্বর্গীয় দূতগণ কি দৃষ্টিতে ঈশ্বরের ব্যবস্থাকে দেখেন ও পরিত্রাণ পরিকল্পনায় তাদের আগ্রহেরই প্রতীক স্বরূপ ছিল । PPBeng 243.3

    অনুগ্রহের আসনের উপর ছিল ঈশ্বরের উপস্থিতির চিহ্ন, শেকায়না রহস্যময় জ্যোতি। মহা-যাজকের নিকট কোন কোন সময় মেঘের ভিতর হতে আওয়াজের মাধ্যমে ঈশ্বরের বাক্য আসত । PPBeng 243.4

    সিন্দুকের ভিতরে ঈশ্বরের ব্যবস্থা ধার্মিকতা ও ন্যায় বিচারের প্রধান নীতি ছিল। ব্যবস্থা লঙ্ঘনকারীর জন্য মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর করা হত; কিন্তু ব্যবস্থার উপরে ছিল অনুগ্রহের আসন । প্রায়শ্চিত্তকারীর মাধ্যমে অনুতপ্ত পাপীর পাপ ক্ষমা করা হত। “দয়া ও সত্য পরস্পর মিলিল, ধার্মিকতা ও শান্তি পরস্পর চুম্বন করিল।” গীতসংহিতা ৮৫:১০। PPBeng 243.5