৪০ - প্রাত্যহিক জীবন যাপনে সাহায্য
“দিন বাহুল্যে তুমি
শক্তি প্রাপ্ত হবে।”
বাগাড়ম্বরের চেয়ে নীরবতার বাক্য বেশি শক্তিশালী যা প্রকৃত খ্রীষ্টানের আদর্শ জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি প্রকৃত ব্যক্তি যার বাক্যের চেয়েও প্রভাব বেশী।MHBen 449.1
যে সব লোকদের যীশুর কাছে পাঠানো হয়েছিল, তারা ফিরে এসে বলল, পূর্বে কোন ব্যক্তি তাঁর মত কথা বলে নি। কিন্তু, প্রকৃত অর্থ হচ্ছে, ইতোপূর্বে কেউই তাঁর মত জীবন যাপন করেন নি। তাঁর জীবন যদি অন্যদের চেয়ে এমন না হতো, তবে তিনি এভাবে কথা বলতে পারতেন না। তাঁর বাক্য মনে হয়েছিল অত্যন্ত শক্তিশালী, কারণ সে বাক্যগুলো ছিল পবিত্র ও নির্মল অন্তঃকরণ থেকে, প্রেম, অনুগ্রহ, সদাশয়তা এবং সত্যে পরিপূর্ণ। MHBen 449.2
অন্যের ওপর কতটুকু প্রভাব বিস্তার করবে তা নির্ভর করে আমাদের চরিত্র এবং ব্যবহারে। খ্রীষ্টের অনুগ্রহে অন্যদের প্রভাবিত করতে হলে, আমাদের নিজেদের জীবনে ও হৃদয়ে এর ক্ষমতা জানা আবশ্যক। সে সুসমাচার আমরা অন্যের প্রাণ রক্ষার জন্য বলে থাকি যে সুসমাচার দ্বারা আমাদের প্রাণ রক্ষা পাওয়া আবশ্যক। শুধুমাত্র ঈশ্বর যীশুতে প্রকৃত বিশ্বাস রাখলে এ সন্দেহপূর্ণ পৃথিবীকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হব। যদি আমরা কোন পাপীকে খরস্রোতা থেকে রক্ষা করতে চাই তবে নিজের পা যীশু খ্রীষ্ট শৈলে দৃঢ় রাখতে হবে।MHBen 449.3
খ্রীষ্টানদের চিহ্ন কোন বাহ্যিক চিহ্ন নয়, অথবা ক্রুশ বা মুকুট পরা-ই যথেষ্ট নয়, কিন্তু ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ তা প্রকাশ করে। তাঁর অনুগ্রহের শক্তির দ্বারা চরিত্রের পরিবর্তন সাধন হয় তদ্বারা পৃথিবী জানতে পারবে যে ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে জীবন দাতা করে পাঠিয়েছিলেন। এরূপ নিঃস্বার্থ প্রেমের প্রভাবের মত অন্য কোন শক্তি মানুষের হৃদয়কে প্রভাবিত করতে পারে না। সুসমাচারের পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমাণ বা যুক্তি হচ্ছে প্রেমময় খ্রীষ্টান, যীশুর কার্যকারীরা। MHBen 449.4