আত্ম-সংযম
আমরা কখনো একা নই। আমরা তাঁকে মনোনয়ন করি আর নাই করি, আমাদের একজন সঙ্গী আছেন। স্মরণে রাখবেন, আপনি যেখানে যান, যা করেন ঈশ্বর সেখানে উপস্থিত। আমরা যা বলি, বা করি অথবা চিন্তাকরি কিছুই তাঁর অগোচরে থাকে না। আপনার প্রত্যেক বাক্য বা কাজের সাক্ষী আছেন- পবিত্র, পাপ ঘৃণাকারী ঈশ্বর। কিছু বলা বা করার পূর্বে সর্বদা তাঁর কথা মনে রাখবেন। এক জন বিশ্বাসী হিসেবে, মনে রাখবেন আপনি একজন রাজকীয় পরিবারের সদস্য, স্বর্গীয় রাজার সন্তান। এমন কথা, বা কাজ করবেন না যা অসম্মান বয়ে আনে, সে নামে, ” যে উত্তম নাম তোমাদের উপরে কীর্তিত হইয়াছে।”(যাকোব ২:৭)।MHBen 471.2
অতি যত্নের সঙ্গে ঈশ্বমানবের চরিত্র অনুসন্ধান করুন, “যীশু আমার স্থানে হলে কি করতেন?” আমাদের কর্তব্যের মাপকাঠি এটা হওয়া উচিত। নিজেকে সমাজের সে সব লোকদের স্থানে বসানোর কোন প্রয়োজন নেই, যাদের কাজের মাধ্যমে আপনার উদ্দেশ্য দুর্বল হয়ে যাবে অথবা আপনার বিবেক বা সংবেদে ঘুণ ধরবে। অপরিচিত লোকদের কাছে, ঘরে, গাড়ীতে এবং রাস্তায় এমন কিছু করবেন না, যাতে মন্দতার বিন্দুমাত্র দেখা যায়। প্রতিদিন জীবনকে উন্নত, সুন্দর এবং মহৎ করে তুলুন, যদ্বারা প্রকাশ পায় যে খ্রীষ্ট তাঁর নিজ রক্ত দ্বারা ক্রয় করেছেন।MHBen 471.3
সর্বদা নীতির মাধ্যমে কাজ করুন, আবেগের দ্বারা নয়। নম্রতা এবং শালীনতাপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গঠন করুন। হালকা বা তুচ্ছনীয়ভাবে আচরণ করবেন না। আপনার মুখ থেকে কোন প্রকার হীন চাতুরতা বের না হোক। এমন চিন্তাব্যক্ত করবেন না, যা সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। সেগুলো এমন হওয়া আবশ্যক যা খ্রীষ্টের প্রতি বাধ্যতা অনুপ্রাণিত করে। সব কথা এবং কাজ পবিত্র বিষয় হোক, যেন জীবনদাতা যীশু খ্রীষ্টের পরশে যা কিছু পুণ্য ও সত্য হয়ে যায়। MHBen 472.1
আমাদের চিন্তাধারা সর্বদা পবিত্র শক্তিতে আবিষ্ট হওয়া প্রয়োজন। আত্মার জন্য একমাত্র নিরাপত্তা হচ্ছে সঠিক চিন্তাকরা। “কেননা সে অনন্ত যেমন ভাবে, নিজেও তেমনি।”(হিতোপদেশ ২৩:৭)। অভ্যাসের দ্বারা আত্ম-সংযম বৃদ্ধি পায়। প্রথমে যা মনে হয় কঠিন, তা বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে সহজ হয়, যতক্ষণ না সঠিক চিন্তাও কার্য স্বভাবে পরিণত হয়। আমরা যদি ইচ্ছা করি তবে সব রকম ইতর ও নিম্ন কর্মকান্ড, চিন্তাধারা থেকে দূরে থাকতে পারি, এবং উন্নত মান স্থাপন করতে পারি; যা মানুষের ও ঈশ্বরের কাছে সমাদৃত। MHBen 472.2